how to apply for american student visa

স্থায়ী ভাবে বসবাস এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ হচ্ছে আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে আমেরিকায় পাড়ি জমান। যদিও তাদের বেশীর ভাগের উদ্দেশ্য থাকে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সমস্থ দেশ থেকেই আমেরিকায় বিভিন্ন মাধ্যমে ঢোকার প্রবনতা লক্ষ করা যায়।

আপনি যদি আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন তবে এখান থেকে শুরু করুন। ইনশাল্লাহ আপনার মনে আর কোন ভুল ধারনা থাকবেনা। এই ব্লগ পড়ার পর আপনি শুধু ঠিক করুন এই মুহুর্ত থেকে আপনি কিভাবে এগুবেন এবং কার কাছে যাবেন।

আপনাকে প্রথমে যা করতে হবে:
https://ceac.state.gov/genniv/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে একাউন্ট ওপেন করতে হবে
https://travel.state.gov/content/travel/en/us-visas/study/student-visa.html এই ওয়েবসাইটে গিয়ে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে

  1. আপনার কাঙ্খিত বিভাগে আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়সীমা প্রথমে যাচাই করুন।
  2. আবেদন ফরম ও অন্যান্য তথ্যের জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন অফিস বরাবর লিখুন।
  3. বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও আপনি আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারেন।
  4. অ্যাডমিশন অফিস আপনাকে ভর্তি সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য জানাবে।
  5. কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির পদ্ধতি চালু আছে।
  6. আপনি অন্তত: ১ বৎসর সময় হাতে রেখে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়াটি শুরু করুন।
  7. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাধারণত ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।

যে সব ডিগ্রীর জন্য আবেদন করতে পারেন

  • এসোসিয়েট ডিগ্রী
  • ব্যাচেলর ডিগ্রী
  • মাষ্টার্স ডিগ্রী
  • পি,এইচ,ডি বা ডক্টরেট ডিগ্রী

ব্যাচেলর ডিগ্রীতে ইন্টার পাস করার পরই কেবল এ্যাডমিট হওয়া যায়। এজন্য আপনার এসএসসি, এইচ এস সি পাশের সার্টিফিকেট, মার্কশিট, পাসপোর্ট ও আমেরিকান সাইজ ছবি থাকা লাগবে। যদিও এর পরেও আরও অনেক ব্যপার থাকে কিন্তু এই পথে নামতে গেলে উপরের কাগজগুলো জরুরী। এখনও পর্যন্ত আমেরিকান এ্যাম্বাসী আপনার সার্টিফিকেট মার্কশিট সত্যায়িত করে আনার জন্য বলেনি তারপরও আপনি সব সময় বোর্ড থেকে আপনার কাগজপত্র সত্যায়িত করে রাখবেন। অনেক দেশে সত্যায়িত কাগজপত্র বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হয়।

আপনি যদি মাস্টার্স পাশ হয়ে থাকেন তবে আপনার এসএসসি, এইচ এস সি ব্যাচেলর মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট, মার্কশিট, পাসপোর্ট ও আমেরিকান সাইজ ছবি থাকা লাগবে। মাস্টার্স এর কাগজপত্রও আপনাকে সত্যায়িত করে আনতে হবে। আমেরিকান এ্যাম্বাসী এসএসসি ও এইচ এস সির সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার ওপর জোর দেয়না কেননা এগুলো অনলাইনে চেক করার সুজোগ রয়েছে

সেমিস্টার সময় সূমহ

  • স্প্রিং সেমিষ্টার: জানুয়ারী থেকে মে পর্যন্ত
  • সামার সেমিষ্টার: মে থেকে জুলাই পর্যন্ত
  • ফল সেমিষ্টার: আগষ্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত

কোর্সের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষাগত যোগ্যতা, মেয়াদঃ

এসোসিয়েট ডিগ্রী
কমপক্ষে ১২ বৎসরের শিক্ষা সমাপন, টোফেল স্কোর সিবিটি- ১৭৩-২৫০ অথবা আইবিটি ৬১-১০০ তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট, জিআরই অথবা জি ম্যাট প্রয়োজন হতে পারে, ২ বৎসরের পূর্নকালীন স্টাডি ।

ব্যাচেলর ডিগ্রী
কমপক্ষে ১২ বৎসরের শিক্ষা সমাপন, টোফেল স্কোর সিবিটি- ১৭৩-২৫০ অথবা আইবিটি ৬১-১০০ তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট, জিআরই অথবা জি ম্যাট প্রয়োজন হতে পারে, ৪ বৎসরের পূর্নকালীন স্টাডি ।

মাষ্টার্স ডিগ্রী
কমপক্ষে ১৬ বৎসরের শিক্ষা সমাপন, টোফেল স্কোর সিবিটি- ১৭৩-২৫০ অথবা আইবিটি ৬১-১০০ তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট, জিআরই অথবা জি ম্যাট প্রয়োজন হতে পারে, ২ বৎসরের পূর্নকালীন স্টাডি ।

ডক্টরেট ডিগ্রী
মাষ্টার্স/এম,ফিল পর্যায়ের শিক্ষা, টোফেল স্কোর সিবিটি- ১৭৩-২৫০ অথবা আইবিটি ৬১-১০০ তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট, জিআরই অথবা জি ম্যাট প্রয়োজন হতে পারে, ৩-৬ বৎসরের পূর্নকালীন স্টাডি ।

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অধ্যয়ন করতে পারেন।

শিল্প ও শিল্প ইতিহাস জীববিদ্যা রসায়ন কম্পিউটার বিজ্ঞান
অর্থনীতি ইতিহাস ভাষাবিদ্যা গণিত
ফলিত গণিত পরিসংখ্যান সঙ্গীত দর্শন
পদার্থ বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যা রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাসায়নিক প্রকৌশল প্রান রসায়ন
তড়িৎ প্রকৌশল বংশগতিবিদ্যা এম,বি,এ খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান
ভূ-মন্ডল ও পরিবেশ বিজ্ঞান ফিল্ম ও মিডিয়া স্টাডিজ আধুনিক ভাষা ও সংস্কৃতি যন্ত্রকৌশল
আইন ইত্যাদিসহ আরো অনেক বিষয়।

IELTS ছাড়া ভর্তির জন্য কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

IELTS আপনার নাও থাকতে পারে। সবাই যে IELTS করবে এমন কোন কথা নেই। তবে মনে রাখবেন IELTS না থাকলে কয়েকটা বিষয়ে মনোযোগ দেয়া জরুরী।

IELTS ছাড়া আমেরিকার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন। আমেরিকার যেসব বিশ্ববিদ্যালয় IELTS ছাড়া আপনাকে ভর্তি করবে এবং I-20 পাঠাবে তার একটি লিস্ট দিলাম।

  1. California State University
  2. Drexel University.
  3. State University of New York
  4. University of Iowa
  5. University of Arkansas
  6. University of Dayton
  7. University of Delaware
  8. University of New Orleans

বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যাডমিশনের জন্য কি কি পেপার প্রস্তুত করতে হবে

আপনি যখন আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মনোযোগ দেবেন তখন প্রথমে নিশ্চয়ই কি কি পেপার পাঠাতে হবে সেদিকে খেয়াল দিতে হবে

  • SAT এবং SAT Subject Tests
  • একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
  • এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি
  • লেটার অব রেকমেন্ডেশন
  • পূরনকৃত আবেদনপত্র
  • আবেদন ফি পরিশোধের প্রমানপত্র
  • পূর্বতন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ইংরেজী সংস্করন। শুধুমাত্র অনুমোদিত যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিলিখন সম্পন্ন হতে হবে।
  • স্কুল/কলেজের ছাড়পত্র
  • টোফেল পরীক্ষার ফলাফলের সনদ
  • প্রয়োজন সাপেক্ষে জি আর ই, স্যাট বা জি-ম্যাট এর ফলাফলের সনদ।
  • পাসপোর্টের ফটোকপি

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে কতো খরচ হয়:

টিউশন ফি: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই টিউশন ফি ১১০০০ থেকে ২০০০০ মার্কিন ডলার। প্রাইভেট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই খরচ প্রায় ৩০০০০ মার্কিন ডলার
স্নাতক পর্যায়ে গবেষনার জন্য কোন আর্থিক সহায়তা সাধারনত দেয়া হয় না।
মাষ্টার্স ও ডক্টরেট পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী উভয় প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাসস্থান ও অন্যান্য খরচ বাবদ বাৎসরিক প্রায় ৪০০০ থেকে ১০০০০ মার্কিন ডলার প্রয়োজন হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয় বাৎসরিক ৫০০ থেকে ১০০০ মার্কিন ডলার।

আপনি পার্ট টাইম জব করে খরচ তুলতে পারেন

পার্ট টাইম জব সমূহ

ক্লিনিং
নৈশ পাহারা
ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরী বা অফিসে কাজ করা
শিশু পরিচর্যা
বারটেন্ডিং
ওয়েটিং সার্ভিস
ফল আহরণ
পোল্ট্রি ফার্মে কাজ করা
লন্ড্রীতে কাজ করা

আমেরিকায় ঢোকার সবচেয়ে বড়ো মাধ্যম হলো স্টুডেন্ট ভিসা বা F ক্যাটাগরির ভিসা। আপনি যদি ইন্টার কমপ্লিট হয়ে থাকেন/ গ্রাজুয়েট হয়ে থাকেন/ মাস্টার্স পাসড হয়ে থাকেন, আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্য। তবে আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় ঢোকার আগে নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করুনঃ

১। আপনি কি আমেরিকায় সত্যিই পড়াশোনা করতে চান?

২। আপনি কি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছরের টিউশন ফি দিতে সক্ষম?

৩। আপনি আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে অবৈধ হয়ে গেলে দেশে আসতে পারবেন না, আবার ফিরে আসলে আর কোনদিন যেতে পারবেন না, এটি কি জানেন?

৪। দেশ থেকে আর্থিক সাপোর্ট না পেলে ওখানকার ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে পারবেন না এটা কি জানেন?

এই চারটি প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়ে দিচ্ছি।

আপনি যদি আমেরিকায় গিয়ে সত্যিই পড়াশোনা করতে চান তবে খেয়াল রাখবেন আমেরিকায় পড়াশোনা কোন রূপকথা নয়। এটি নেহায়েৎ বাস্তবতা। বাস্তবতাটা মাথায় রেখে আপনাকে এগুতে হবে। আমেরিকার সবচেয়ে কমদামী ইউনিভার্সিটিতে পার ইয়ার টিউশন ফি বারো হাজার ডলার বা দশ লাখ টাকা।

প্রথম বছর নাহয় কষ্টেসৃষ্টে টাকাটা দিয়েই দিলেন কিন্ত পরের বছর এই দশ লাখ টাকা কোথা থেকে আপনি ম্যানেজ করবেন? যদি বাবা হন কোটিপতি তাহলে তো ম্যানেজ হয়েই গেল, কিন্ত বাবার পকেটও যদি আপনার পকেটের মতো অবস্থা হয় তবে মনে রাখবেন আমেরিকার মাটিতে আপনার জন্য পড়াশোনাটা বেশ কষ্টকর হয়ে গেল। কারন আমেরিকায় পার্ট টাইম জব করে আপনার পক্ষে কখনও ইউনিভার্সিটির টিউশন ফি দেয়া সম্ভব নয়।

ধরুন আমেরিকায় গিয়ে আপনি পড়াশোনা বাদ দিয়ে ফুল টাইম একটা জব নিয়েছেন। যদিও জানি এমন জব পাওয়া বেশ কষ্টকর, তারপর ধরেই নিলাম আপনি পেয়েছেন। ঘন্টায় ৬ ডলার জব আপনি পেয়ে গেলেন। দিনে দশ ঘন্টা কাজও করেন। তাহলে আপনার দৈনিক আয় ৬০ ডলার বা ৪৮০০ বাংলাদেশী টাকা। মাসের প্রতিদিন যদি আপনি জব করেন তবে মাস শেষে আয় করবেন ১৪৪০০০ টাকা। বছর গেলে আপনার আয় দাঁড়াবে ১৭২৮০০০ টাকা।

মনে করুন আপনি ইউনিভার্সিটিকে দিয়ে দিলেন ১০০০০০০ টাকা। হাতে রইলো সাত লাখ টাকা। গত এক বছরে আপনি খরচ করেছেন কতো টাকা? বাড়ি ভাড়া, খাওয়া, ইউনিভার্সিটিতে যাওয়া আসা, ইত্যাদি। আর ইউনিভার্সিটিতে গেলে আপনি জব করবেন কখন? আবার জবে গেলে ইউনিভার্সিটিতে যাবেন কখন। পার্ট টাইম জব মানে ধরুন দিনে পাঁচ ঘন্টা। তাহলেও এতো ইনকাম হচ্ছেনা।

তাহলে ধরে নিন আপনি যে টাকা খরচ করে আমেরিকায় গিয়েছিলেন তা তুলতে গেলেও আপনাকে অবৈধ হতে হবে। মোদ্দা কথা দুটোর একটা আপনাকে গ্রহন করতে হবেঃ হয় পড়াশোনা না করে আপনাকে অবৈধ হয়ে কাজ করতে হবে, নাহয় বাপের টাকায় আমেরিকায় পড়াশোনা করতে হবে। আমার অভিজ্ঞতায় আমি একথা আপনাদের বললাম। এখন ডিসিশন আপনার।

ঢাকার আমেরিকান সেন্টারের হিসাব অনুসারে প্রকৃত স্টুডেন্টদের নিম্নলিখিত স্ট্যাটাস থাকা উচিৎঃ

ইয়ার গ্যাপের মধ্যে তারা কিছু বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছে, যেমন ইংরেজী কোর্স, কম্পিউটার কোর্স ইত্যাদি। ইংরেজীতে ভালো হতে হবে। ইংরেজীতে ভালো এটা প্রমান করার জন্য IELTS বা TOEFL কোর্সে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।

আমেরিকায় গিয়ে তারা যে পড়াশোনা করবে তার বিশ্বাসযোগ্য প্রমান দিতে হবেঃ

ক) যেমন সে একমাত্র সন্তান।
খ) বাবার এ্যাকাউন্টে অঢেল টাকা আছে।
গ) বাবার ঢাকায় বাড়ি আছে। গাড়ি আছে।
ঘ) পড়াশোনায় রেজাল্ট যথেষ্ট ভালো

আমেরিকান ডিগ্রী সমূহ:

আমেরিকার উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নিম্নলিখিত ডিগ্রীগুলো প্রদান করা হয়:

আপনি ব্যাচেলর ডিগ্রীর নাম শুনেছেন, মাস্টার্স ডিগ্রীর নাম শুনেছেন কিন্তু এ্যাসেসিয়েট ডিগ্রীর নাম শোনেননি? আপনি না অনেকেই এই নামটি শোনেননি। এ্যাসোসিয়েট ডিগ্রী হলো মাধ্যমিক পাস করার পর অর্থাৎ স্কুল লেভেল কমপ্লিট করার পর ইলেভেন্থ গ্রেডের ডিগ্রী। এটিতে ভর্তি হতে আপনাকে কেবল মাধ্যমিক পাস হতে হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে তেমন ভিসা দেয়া হয়না এই লেভেলে এবং মা বাবারাও ম্যাট্রিক পাস ছেলে মেয়েকে আমেরিকায় যেতে দিতেও চাননা যদি আমেরিকায় কোন নিকট আত্মীয় না থাকে।

মাস্টার্স ডিগ্রীতে এ্যাডমিশন এর জন্য আপনার এসএসসি, এইচ এস সি ও ব্যাচেলর পাশের সার্টিফিকেট, মার্কশিট, পাসপোর্ট ও আমেরিকান সাইজ ছবি থাকা লাগবে। যদি ব্যাচেলর হয়ে থাকেন তবে আপনার ব্যাচেলরের কাগজপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সত্যায়িত করে আনবেন। আপনি যদি অনার্স শেষ করে থাকেন তবে আপনার ইউনিভার্সিটি থেকে তা সত্যায়িত করুন।

বিদেশে কোন ইউনিভার্সিটিতে অথবা কলেজে আডমিশন নিতে হলে কিছু উপায়ে আপনার পেপারস সত্যায়িত করে নিতে হয় । তাছাড়া কোন ভাবেই আডমিশন পাওয়া যাবে না । তাই সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে তাদের কিছু নিয়ম অনুসর করতে হবে ।প্রথমত হল আপনি যদি বিদেশে পড়তে আগ্রহী থাকেন তাহলে কোন ভাবেই আপনার সার্টিফিকেট লেমিনেটেড করা যাবে না ।এটা বোকামির কাজ হবে ।

যদি কেউ করে থাকেন তাহলে সেটা তুলে ফেলার চেষ্টা করুন ।নিলক্ষেত থেকে তুলতে পারবেন কোন সমস্যা ছাড়াই তবে ভালো করে দরাদাম করে নেবেন। 50-100 BDT লাগতে পারে ।এক এক দেশে এক এক রকমভাবে পেপার সত্যায়িত করে পাঠাতে হয় ।আনেক ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে আপনি অন লাইনে আবেদন করতে পারবেন । এর পর ইউনিভার্সিটি থেকে যদি একসেপ্ট হন তাহলে আপনার পেপারস পাঠাতে হবে ।

ইউরোপের অনেক দেশ আছে যেখানে আপনার পেপার পাঠাতে হলে অবশ্যই লিগালাইজ করে নিতে হয় । সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে নিজ বোর্ড থেকে ভেরিফাই করে নিতে হবে মূল পেপারস প্রতি পেপারস সাথে ফটিকপি যতগুলো আপনার দরকার ।এর পর আপনি আপনার পেপারস এর ফটোকপি গুলো শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে সত্যায়িত করে নোটারি করবেন এরপর পররাষ্ট মন্ত্রনালয় খেকে করতে হবে এটাই আপনার শেষ ধাপ এবং সব শেষে কনসুলেট খেকে সত্যায়িত করতে হবে যদি ইউনিভাসিটি থেকে বলা হয়।

আবেদন প্রক্রিয়া:

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য নিম্নলিখিত আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরন করতে হবে:

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তিরশিক্ষাগত ও ভাষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের মেয়াদ:

বিষয়সমূহ:
বেশীরভাগ ছাত্র ছাত্রী্ই ইংরেজীতে দুর্বল। এদের পক্ষে IELTS করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। যারা ইংরেজীতে দুর্বল তারাও আমেরিকাতে যেতে চায়।
IELTS ছাড়া আপনি অনেক স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবেন। সেজন্য যদি আপনার ভালো রেজাল্ট থাকে বা বাংলাদেশে অবস্থিত সেই ইউনিভার্সিটির রিজিওনাল অফিস যদি সহায়তা করে তবে আপনি ভর্তি হতে পারেন। খুব কম ছাত্র ছাত্রী আছে যারা নিজে নিজে IELTS ছাড়া ভর্তি হতে পারে। নিজে নিজে এই কাজ যদি করেন তবে পেপার প্রসেসিং এর সময়ে আপনার অন্যন্য পেপার এ WEAKNESS শো করবে। ফলে ভিসা পাওয়া দুস্কর হয়ে যাবে।
১। আপনার এ্যাডমিশন হতে হবে পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে। আমেরিকাতে একে বলে স্টেট ইউনিভার্সিটি। আমেরিকার প্রতিটি স্টেটে একটি করে স্টেট ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এরা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।এদের দাপটও ভালো।টিউশন ফিটা এরা পেলে সেটা সরকারের ফান্ডে যায় তাই এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ভিসা পাবার সম্ভাবনা অন্তত ২৫% বেড়ে যায়।
২। IELTS না থাকলে এসএসসি, এইচএসসিতে ইংরেজীতে ভালো মার্কস তুলতে হবে। ইংরেজী বিষয়ে A+ থাকাটা বেশ জরুরী। তাহলে তারা ভাববে যে আপনি ইংরেজীতে ভালো।
৩। ব্যাংক স্টেটমেন্ট হিসাবে বেশী টাকা রাখতে হবে আপনার বাবার /মায়ের এ্যাকাউন্টে। সেই টাকার সোর্স অব ফান্ড শো করতে হবে বিভিন্ন কাগজপত্রের মাধ্যমে।
৪। যদি পারেন অগ্রিম (আমেরিকায় যদি কেউ থাকে তার মাধ্যমে) টিউশন ফি পরিশোধ করে একটি রিসিপ্ট নিয়ে নিন এবং এ্যামবাসিতে ইন্টারভিউয়ের সময়ে তা প্রদর্শন করুন।
৫। ডিএস ১৬০ ফর্ম পুরনের সময়ে কিছু তথ্য প্রদানে সতর্ক থাকুন। এই তথ্যগুলোই আপনাকে ভিসার জন্য যথেষ্ঠ সহায়তা করবে।

দেখুন উপরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আপনার TOEFL ছাড়াই আপনাকে ভর্তি নিচ্ছে অর্থাৎ তাদের IELTS স্কোরও প্রয়োজন নেই। আপনার ইন্টারমিডিয়েট বা গ্রাডুয়েশন থাকলেই ভর্তি হতে পারবেন। তবে আপনাকে আরও কিছু কিছু বিষয়ে পারঙ্গম হতে হবে যে বিষয়ে আমি পরে বলছি। আমেরিকাতে আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ফুল স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। সেগুলো হলো

Princeton University Yale University Goucher College Brown University
Drexel University New York University Columbia University Duke University
Cornell University Washington And Lee University American University

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের সময় কিছু জিনিস খেয়াল রাখা দরকার । আপনাদের জন্য বিস্তারিত বিবরন প্রদান করা হলো

1. যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় এ আবেদন করুন এবং ফর্ম I-20 পান

  • SEVIS I-20 ফর্মটিতে আপনার সম্পর্কে মৌলিক জীবনী তথ্য, স্কুল সম্পর্কে তথ্য, অধ্যয়নের প্রোগ্রাম এবং খরচ রয়েছে। আপনার F2 নির্ভরশীলদের অবশ্যই আপনার I-20 ফর্মগুলি আপনার সাথে নিতে হবে।

2. DS-160 ফর্ম পূরণ করুন

  • ভিসা ইন্টারভিউ শিডিউল করার আগে আপনাকে এবং আপনার নির্ভরশীলদের অবশ্যই DS-160 ফর্ম পূরণ করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই নিজের একটি ছবি আপলোড করতে হবে অথবা একটি সাক্ষাৎকারে আনতে হবে। আপনাকে ভিসা ইস্যু ফি দিতে হতে পারে। আপনি আপনার DS-160 সফলভাবে জমা দেওয়ার পরে, আপনি এটিতে একটি বারকোড সহ একটি মুদ্রিত নিশ্চিতকরণ পাবেন। এই ফর্মটি সংরক্ষণ করুন – আপনার ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য এটির প্রয়োজন হবে।

3. ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করা । আপনার নিম্নলিখিত নথিগুলির প্রয়োজন হবে:

  • ভিসা ফি পরিশোধের প্রমাণ
  • পাসপোর্ট ছয় মাসের জন্য ভ্রমণের জন্য বৈধ
  • ট্রান্সক্রিপ্ট, ডিপ্লোমা, ডিগ্রি, অথবা একাডেমিক সনদ যা আপনি পূর্বে অর্জন করেছেন।
  • আপনার ইউএস প্রতিষ্ঠান দাড়া যোগ্যতার পরীক্ষার স্কোর প্রয়োজন(ielts,gre..etc type)
  • অধ্যয়নের কোর্স শেষ হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের অভিপ্রায় প্রমাণকারী নথি, সমস্ত শিক্ষাগত, জীবনযাত্রা এবং ভ্রমণ খরচের জন্য সম্পদ এর প্রমাণ.

4. ভিসা ইন্টারভিউ

  • একজন আন্তর্জাতিক ছাত্র হিসাবে, আপনি আপনার আসন্ন সাক্ষাৎকার সম্পর্কে অনিশ্চিত বোধ করতে পারেন। নার্ভাস হওয়া স্বাভাবিক, একটি গভীর শ্বাস নিতে ভুলবেন না এবং মনে রাখবেন যে আপনি ভালভাবে প্রস্তুত! আপনার সাক্ষাৎকারটি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু চাপে থাকা উচিত নয়।
  • F-1 ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউ অংশের সময়, মার্কিন কনস্যুলেট বা দূতাবাস নিশ্চিত করে যে আপনি বৈধ, যোগ্য ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করতে আসছেন। আপনার ভিসা সাক্ষাৎকারে, আপনাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে আপনার যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের সময় ব্যয় করার জন্য আপনার কাছে যথেষ্ট অর্থ রয়েছে এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরে আপনি দেশে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আপনার ভিসা সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হওয়া প্রয়োজন, যদিও কিছু বিরল ব্যতিক্রম রয়েছে (যেমন, যদি আপনার বয়স ১৪ বছরের কম বা ৮০ বছরের বেশি হয়, অথবা যদি আপনি কিছু ভিসা নবায়নের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেন)।
  • সাক্ষাৎকারে অফিসার নির্ধারণ করবেন আপনি F1 ভিসার জন্য যোগ্য কিনা। বায়োমেট্রিক্স একটি পৃথক অ্যাপয়েন্টমেন্টে নেওয়া হবে, সাধারণত এক বা দুই দিন আগে। আবেদনে কোনো তথ্য অনুপস্থিত থাকলে আপনাকে জানানো হবে। ইন্টারভিউ সফল হলে, আপনাকে অতিরিক্ত ভিসা ইস্যু ফি দিতে হতে পারে।
  • আপনার ভিসা সাক্ষাৎকারে কি আশা করা যায়? আপনি কি বৈধ ছাত্র?
  • আপনার পড়াশোনার জন্য অর্থ প্রদানের জন্য আপনার কি সম্পদ আছে?
  • আপনি কি আপনার ডিগ্রী শেষ করে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন?

5. পোর্ট অব এন্ট্রিতে নিজেকে উপস্থাপন করা

  • আপনাকে অবশ্যই প্রবেশের একটি বন্দরে যেতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশনের অনুমতি নিতে হবে। প্রবেশের বন্দরগুলির মধ্যে রয়েছে স্থল সীমান্ত ক্রসিং এবং প্রধান বিমানবন্দর।
  • যখন আপনি আপনার পাসপোর্ট, ভিসা এবং ফর্ম I-20 উপস্থাপন করবেন, তখন CBP কর্মকর্তা আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রে ভর্তি করা উচিত কিনা তা নির্ধারণ করবে।
  • তারা আপনাকে একটি ভর্তি স্ট্যাম্প বা কাগজ ফর্ম I-94 আগমন/প্রস্থান রেকর্ড প্রদান করবে।
  • আপনার F-1 স্টুডেন্ট ভিসা ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুতি নিতে, এখানে কিছু প্রশ্ন আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হতে পারে:
  • কেন আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিলেন?
  • আপনি অন্য কোন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছেন?
  • আপনি কিভাবে আপনার শিক্ষার জন্য অর্থ প্রদান করবেন?
  • আপনার কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মীয় আছে?
  • আপনি কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন?
  • স্নাতক শেষ করার পর আপনি কী করবেন?

এসব প্রশ্ন এর জবাব আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক তথ্যের মাধ্যমে বিশ্বাষযোগ্য ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এসব প্রক্রিয়াদি সফল ভাবে সম্পন্ন হলে আপনি আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা F1 পেতে পারেন। এরপরেও ভিসা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা ঘটতে পারে। চেষ্টা করে যেতেই হবে

বি:দ্র বর্তমান এ কোভিড পরিস্থিতির কারনে ভিসা প্রক্রিয়ায় ধীরগতি এবং বিশাল জট লেগে আছে। এজন্য ভিসা প্রক্রিয়া এখন সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের পরীক্ষায় পরিনত হয়েছে।

About Author

Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0
    0
    Your Cart
    Your cart is emptyReturn to Shop