how-about-state-of-michigan-in-the-united-states-for-bengali

আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীদের আগমনের শুরু প্রায় চার দশকের বেশি সময় ধরে। বর্তমানে বাংলাদেশি অভিবাসী যেকোনো সময়ের তুলনায় সব চেয়ে বেশি। বাংলাদেশি অভিবাসীদের সঠিক সংখ্যা না জানলেও এটুকু বলা যায় নিউইয়র্ক, টেক্সাস এর পাশাপাশি মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীদের বৃহৎ অংশের বসবাস।

চাকরি, ব্যবসা, জীবন যাপন খরচ সব দিক থেকে সম্প্রতি বছরগুলোতে মিশিগানে বাংলাদেশিদের আগমন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।মিশিগানের ডেট্রয়েট এবং এর পার্শ্ববর্তী হ্যামট্র্যামাক, ওয়ারেন, স্টার্লিং হাইটস, ট্রয়, রচেস্টার, রচেস্টার হিলস, ফারমিংটন, ফারমিংটন হিলস, নোভাই, নর্থভিল, কেন্টন, ডিয়ারবর্ণ হাইটস, টেইলর, সাউথগেট, এন আরবার, ফ্লিন্ট, ল্যান্সিং, শাগিনাও, গ্রান্ড রাপিড ও বে-সিটির প্রায় সব শহরে বাংলাদেশি কমিউনিটি।

বাংলাদেশি অভিবাসীদের মাঝে রয়েছে অত্যন্ত দৃঢ় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ।সংখ্যা বিবেচনায় নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে সর্বাধিক বাংলাদেশি আমেরিকানদের আবাসন। নতুন অভিবাসীদের প্রথম পছন্দ নিউইয়র্ক। কিন্তু বর্তমানে বাসা ভাড়া, বাড়ির উচ্চ মূল্য, জীবনযাপন খরচের কারণে নিম্ন আয়ের অভিবাসীদের প্রথম পছন্দ মিশিগান।

জ্বালানি তেলের মূল্য কমে যাওয়ার কারণে টেক্সাস, আলাবামা, ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের অনেক প্রকৌশলী মিশিগানে স্থানান্তরিত হয়েছেন। মিশিগানে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিদের অবস্থান রাজ্যের প্রধান শহর ডেট্রয়েট এর পার্শ্ববর্তী হ্যামট্র্যামাক শহরে। শহরটিতে পোল্যান্ড, ইয়েমেন ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের বসবাস।

বাংলাদেশিদের একতার কারণে আজ ছয় কাউন্সিল মেম্বারের ৩ জন বাংলাদেশি আমেরিকান। একক প্রার্থিতা দিতে পারলে আগামী নির্বাচনে মেয়র হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শহরে দেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট, গ্রোসারি, মসজিদ, হাফেজি মাদ্রাসা, মন্দির, স্কুল, ড্রাইভিং স্কুল সব রয়েছে। দশটি মসজিদের সাতটি বাংলাদেশিদের তত্ত্বাবধানে।

রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ। বাংলাদেশিরা প্রধানত ব্যবসায়ী, এ ছাড়া বড় অংশ গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কর্মরত। তবে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিরা এখানে পড়াশোনা শেষে ডাক্তার-প্রকৌশলী হিসাবে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করছেন। শহরে বেশ কিছু বুটিকের দোকানে বাংলাদেশি শাড়ি জামা পাওয়া যায়। ঈদ আর পূজায় প্রতিটি সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আমেজে মেতে ওঠে এ শহর।

ভাষার সমস্যার কারনে অনেক বাঙালীরাই এমেরিকান ডাক্তারের কাছে যেতে চান না কিন্তু মিশিগানের এই হ্যামট্রমিক সিটিতে আপনার সেই সমস্যা নেই। কারন অনেকগুলো বাংলাদেশী ডাক্তারের চেম্বার, বাঙালী মালিকানাধীন ফার্মেসী, বাঙালী ইন্সুরেন্স এজেন্সি, বাঙালী ইমিগ্রেশান উকিল, ইনকাট্যাক্স উকিল, রিয়েল এষ্টেট এজেন্ট সবই পাবেন এই শহরে।

বেশ কয়েকটি ইউজ গাড়ির শোরূম এবং গাড়ীর সার্ভিসিং সেন্টার সবই বাঙালীদের মালিকানাধীন । পায়ে হাটার দুরত্বে ফার্মেসী, গ্রোসারী, মসজিদ,স্কুল সবই পাবেন । বলতে পারেন এই শহরটা মিনি বাংলাদেশ । বাঙালী মালিকানাধীন সব দোকানপাট অফিসের সাইনবোর্ড গুলো বাংলাতেই।

বাংলাদেশি অভিবাসীদের বড় একটি অংশের বসবাস হ্যামট্র্যামাক এর পার্শ্ববর্তী ওয়ারেন শহরে। হ্যামট্র্যামাক থেকে অনেকে এই শহরে স্থানান্তরিত হন। জেনারেল মটরস এর ওয়ার্ল্ড টেকনিক্যাল সেন্টার এই শহরে। তাই রয়েছে অনেক যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।

এ শহরেও পর্যাপ্ত মসজিদ রয়েছে এবং অধিকাংশের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশি মুসল্লিরা। বাংলাদেশি তত্ত্বাবধানে মন্দিরও রয়েছে এ শহরে। রয়েছে বাংলাদেশি খাবারের দোকান ও মনোহারী দোকান। জেনারেল মটরস এর ওয়ার্ল্ড টেকনিক্যাল সেন্টারে কর্মরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীর সংখ্যা শতাধিক।

ওয়ারেন শহরের লাগোয়া দুই শহর স্টার্লিং হাইটস ও ট্রয় শহরে বাংলাদেশিদের বড় কমিউনিটি। উত্তর আমেরিকাতে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের সব চেয়ে বড় কমিউনিটি বলা চলে। এ ছাড়া বেশ কিছু বাংলাদেশি ডাক্তার ও ব্যবসায়ীর বসবাস এখানে। রয়েছে বাংলা স্কুল ও প্রকৌশলীদের সংগঠন। শহরে বাড়ি ভাড়া ও নিত্যপণ্যের দাম বেশি।

তবে শহরের নির্বাচনে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দেওয়ার মতো ভোটার এখনো হয়নি। গত কয়েক বছরে এ শহরে বাংলাদেশি অভিবাসী বেড়েছে কয়েক গুন। ট্রয় শহরে বাংলাদেশি তত্ত্বাবধানে মসজিদ রয়েছে। উন্নত স্কুল ব্যবস্থাপনার কারণে এই শহর বাংলাদেশিদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে।রচেস্টার ও রচেস্টার হিলস শহরে বাংলাদেশিদের বসবাস বেড়েছে বেশ কয়েক গুন।

অধিকাংশ গাড়ি নির্মাণ ও যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। রয়েছে বেশ কিছু ডাক্তার ও ব্যবসায়ী পরিবার। দোকান কিংবা মসজিদে দেখা মিলবে বাংলাভাষী বাংলাদেশিদের। রয়েছে বাংলাদেশি হালাল মাংস ও খাবারের দোকান।গ্রেটার ডেট্রয়েট এর পশ্চিম প্রান্তের শহর ফারমিংটন, ফারমিংটন হিলস, নোভাই ও নর্থভিল শহরে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের একটি বড় অংশের বসবাস।

এ শহরগুলোতে ভারত, পাকিস্তান ও জাপানি আমেরিকানদের বসবাস। তাই রয়েছে প্রচুর দেশি রেস্টুরেন্ট। এর অধিকাংশের বাবুর্চি বাংলাদেশি। রয়েছে মসজিদ ও মন্দির। এখানেও উন্নত স্কুল ব্যবস্থাপনার কারণে বাড়ি ভাড়া ও বাড়ির মূল্য বেশ উচ্চ। রয়েছে বেশ কিছু দেশি গ্রোসারি দোকান। বিকেলে পথে হাঁটলে দেখা মিলবে অনেক দেশি লোকজনের।

সম্প্রতি অন্যান্য অঙ্গরাজ্য থেকে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি অভিবাসী এখানে স্থানান্তরিত হয়েছেন।ক্যান্টন ও এন আরবার শহরে রয়েছে বাংলাদেশি অভিবাসীদের একটি অংশ। গাড়ি ও যন্ত্রাংশ নির্মাণ কারী প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধিকাংশ অভিবাসী বসবাস এ শহরে। প্রতিটি শহরে মসজিদ ও ইসলামিক স্কুল রয়েছে।

ফোর্ড গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি ও আমেরিকার সবচেয়ে বেশি মধ্যপ্রাচ্যের বসবাসের কারণে ডিয়ারবর্ণ বেশ আলোচিত। এ শহরেও বাংলাদেশি অভিবাসীদের বসবাস রয়েছে ও সম্প্রতি বেড়েছে বেশ দ্রুত। পার্শ্ববর্তী ডিয়ারবর্ণ হাইটস, টেইলর, সাউথগেট মিলে বাংলাদেশি শতাধিক পরিবারের বসবাস।ল্যান্সিং হচ্ছে মিশিগান রাজ্যের রাজধানী।

শহরে রয়েছে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি। আর তাই পনেরো থেকে বিশটি বাংলাদেশি ছাত্র পরিবার থাকেন, যারা দেশ থেকে উচ্চ শিক্ষায় এখানে আসেন। এ ছাড়া ল্যান্সিং, মেসন, হল্ট শহরে বাংলাদেশি অভিবাসীদের কমিউনিটির পদচারণা চোখে পড়ার মতো।গ্র্যান্ড র্যা পিড শহরে বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশের বসবাস, পার্শ্ববর্তী হল্যান্ড, জি ল্যান্ড, বিগ র্যা পিড মিলে বেশ বড় কমিউনিটি।

কলকাতার বাংলা ভাষাভাষীদের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত বাংলা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলে। ভারতীয় বেশ কিছু গ্রোসারি দোকান থাকলেও বাংলাদেশি কোনো দোকানপাট নাই।ফ্লিন্ট শহরে বাংলাদেশিদের বাস বহুদিন আগ থেকেই, ছোট কিন্তু বেশ আন্তরিক এ বাংলাদেশ কমিউনিটি। ডাক্তার, প্রকৌশলী আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু বাংলাদেশি ছাত্র ছাত্রী রয়েছেন।

বাংলাদেশি কোনো দোকানপাট না থাকলেও হালাল মাংসের জন্য অ্যারাবিক দোকান রয়েছে। রয়েছে বেশ ক’টি মসজিদ ও মন্দির।শাগিনাও, মিডল্যান্ড, ব-সিটি মিলে বেশ বড় বাংলাদেশি কমিউনিটি গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ গাড়ি যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। রয়েছে বেশ কজন বাংলাদেশি ডাক্তার। শহরের বাংলাদেশি অভিবাসী ডা. দেবাশীষ মৃধা গতবার অঙ্গরাজ্যের সিনেটর নির্বাচন করেন।

শাগিনাও ভ্যালি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি পরিবার সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত।আমেরিকার রাজনীতির প্রধান দলগুলোর একটি ডেমোক্রেটিক দলের বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ককাস (বিএডিসি) বেশ সক্রিয়। এ ছাড়া দল নিরপেক্ষ সংগঠন বাংলাদেশি আমেরিকান পাবলিক আফ্যায়ারস কমিটি (ব্যাপাক) বাংলাদেশি অভিবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রকৌশলীদের নিয়ে গঠিত আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড আর্কিটেকচার (আবিয়া)। রয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডাক্তারদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা। মসজিদের ইমামদের নিয়ে রয়েছে ইমাম সমিতি। রয়েছে প্রায় অনেক জেলা সমিতি।

এ ছাড়া মিশিগানে বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল গুলোর অঙ্গ সংগঠন রয়েছে।সম্প্রতি স্থানীয় বাংলাদেশি কিছু পরিবার বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশি শাক সবজি চাষ করছেন, যা বাংলাবাজার দোকান গুলোয় পাওয়া যায়।

মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটকে বলা হয় মোটর সিটি। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর তিন গাড়ি কোম্পানির সদর দফতর এই শহরেই। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হচ্ছে মিশিগান। দেশের বৃহৎ গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস ও ক্রাইসলার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলো।

এইসব ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠার জন্যে সরকার কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়। বিশেষ কিছু প্রণোদনায় গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো আবার বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর তাই হয়তো মিশিগানকে এখন বলা হয় ‘কামব্যাক স্টেট’ এই রাজ্যে শত শত ফ্যাক্টরি, সবই গাড়ী নির্মাণ সংক্রান্ত । কোম্পানি গুলো ডেকে ডেকেও লোক পাচ্ছেনা ।

ফ্যাক্টরি গুলোতে বেতনের হারও অনেক ভাল । বেতনও ভাল আবার বাড়ী ভাড়া সহ জীবন যাত্রার খরচও তুলনামূলক অনেক কম তাই দুই দিক থেকেই সোনায় সোহাগা । এমেরিকায় সবচাইতে বড় সমস্যা হল অত্যাধিক বাড়ী ভাড়া । সেই দিক থেকে এই রাজ্য টি অনেক সহনশীল । ডেট্রয়েট সিটির পাশ দিয়েই চলে গেছে ডেট্রয়েট নদী । নদীর ওপাড়েই কানাডার উইন্ডসোর সিটি ।

কানাডা থেকে প্রতিদিন শতশত লোক ড্রাইভ করে মিশিগানের বিভিন্ন শহরে জব ভিসা নিয়ে চাকরি করতে আসে, আবার প্রতিদিন বিকেলে ফিরে যায় । আমেরিকা এবং কানাডাতে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের সবচাইতে বড় কমিউনিটি মিশিগানে। গাড়ীর কোম্পানী গুলোতে কর্মরত অধিকাংশরাই বাংলাদেশি।

শুধুমাত্র জেনারেল মোটরসের টেকনিক্যাল সেন্টারে কর্মরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীর সংখ্যা শতাধিক।তবে এখানে যেমন বাড়ী ভাড়া কিংবা বাড়ির দাম খুব সহনশীল আবার দামী দামী এলাকাও আছে । বারমিংহাম, গ্রস পয়েন্ট, রেডফোর্ড এইরকম আরো অনেক গুলো এরিয়া আছে যেখানে কিনা আপনি মিলিয়ন ডলারের নিচে কোন বাড়ীই পাবেননা ।

বাড়ী গুলো বিশাল বিশাল এলাকা নিয়ে । চোখ ধাঁধানো সব বাড়ী দেখলে মনে হবে বোধহয় স্বর্গে আছেন । এইসব এলাকায় অল্প কিছু বাঙালী বসবাস করেন তবে তারা গননায় খুব বেশী নয় । সমস্ত এমেরিকায় মিশিগানই সর্বপ্রথম ষ্টেট, যেখানে কিনা মসজিদে মাইক দিয়ে উচ্চস্বরে আযান দেয়ার অনুমতি পেয়েছে সম্ভবত সেটা ২০০৯ সাল থেকে ইদানীং আরো কিছু কিছু জায়গায় মাইকে আযান হয় তবে মিশিগানই হচ্ছে সর্বপ্রথম ।

বাসা ভাড়া বাসার মূল্যঃ
এখনা দুই বেডরুমের বাসা ৭০০-১১০০ ডলার
কনডেমিয়ান গুলো ৯০০-১৫০০ ডলার
তিন বেডরুমের বাসা ১৫০০ থেকে ১৭০০ ডলার

বাসার মূল্য
৮৫০ স্কয়ার ফিট ১৫০০০০ লক্ষ ডলার
১১০০ স্কয়ার ফিট এর বাসা ২০০০০০ থেকে ২৫০০০০ ডলার
বেসমেন্ট সহো তিন বেডরুমের বাসার মূল্য প্রায় ৩০০০০০ লক্ষ ডলার থেকে ৫০০০০০ লক্ষ ডলার

কর্মসংস্থান
এখানে প্রচুর চাকুরীর সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এখানে কাজের কোন অভাব নেই
প্রচুর গাড়ী কোম্পানীতে অনেক বাংলাদেশী চাকুরী করেন। টেসলা বা ফোর্ড এর মতো কোম্পানি তে চাকুরীর জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে।
উবার বা ট্যাক্সি সার্ভিস কাজ এর সুবিধা অনেক সহজ।শুধুমাত্র মিশিগানের নম্বরপ্লেট হলেই এগুলোতে কাজ করতে পারবেন।
হোটেল ও দোকানগুলো বাংলাদেশী মালিকানা থাকার কারনে সহজে কাজ পাওয়া যায়
প্রচুর বাংলাদেশী থাকার কারনে একসপ্তাহ এর মধ্যে কাজ পেয়ে যাওয়া সম্ভব।

শিক্ষাক্ষেএ:
যেহেতু সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী হ্যামট্রমিক সিটিতে বসবাস করেন সেখানকার কিছু স্কুল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
স্কুলের নাম ঠিকানা রেটিং

  • Hamtramck Academy 11420 Conant Street, Hamtramck, MI, 48212 8/10
  • Bridge Academy – Elementary 9600 Buffalo Street, Hamtramck, MI, 48212 7/10
  • Caniff Liberty Academy 2650 Caniff Street, Hamtramck, MI, 48212 7/10
  • Hanley International Academy 2400 Denton Street, Hamtramck, MI, 48212 6/10
  • Commonwealth Community Development Academy 13477 EUREKA ST, HAMTRAMCK, MI, 48212 5/10
  • Dickinson East Elementary School 3385 Norwalk Street, Hamtramck, MI, 48212 5/10
  • Tau Beta School 3056 Hanley Street, Hamtramck, MI, 48212 4/10
  • Holbrook School 2361 Alice Street, Hamtramck, MI, 48212 4/10
  • Dickinson West Elementary School 2333 Burger Street, Hamtramck, MI, 48212 4/10

মিশিগানে বিখ্যাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও রয়েছে । জেনে নেওয়া যাক তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম গড় খরচ গ্রাজুয়েশন রেট একসেপ্টন্স রেট

  • University of Michigan ১৫ হাজার ইউএস ডলার ৯২% ২৬%
  • Eastern Michigan University ১৫ হাজার ইউএস ডলার ৪৫% ৭৫%
  • Michigan State University ১৯ হাজার ইউএস ডলার ৮০% ৭৬%
  • Grand Valley State University ১৭ হাজার ইউএস ডলার ৬৬% ৮৮%
  • Andrews University ২৩ হাজার ইউএস ডলার ৫৯% ৪৯%
  • Calvin University ২৬ হাজার ইউএস ডলার ৭৭% ৭৩%
  • Michigan Technological University ১৫ হাজাার ইউএস ডলার ৬৮% ৭০%
  • Wayne State University ১৪ হাজার ইউএস ডলার ৪৬% ৬৯%
  • University of Michigan-Dearborn ১৩ হাজার ইউএস ডলার ৫৬% ৬৮%

ক্রাইম কন্ডিশনঃ
বছরের পর বছর ক্রাইম কিছুটা বেড়েছে- প্রতি ১০০০ বাসিন্দার মধ্যে৪.৪ ঘটনা থেকে ৪.৮ হয়েছে। অন্যদিকে সম্পত্তি অপরাধ ১৫.৯ থেকে কমে ১৩.৬ হয়েছে। মিশিগানে সবথেকে ৫০টি নিরাপদ শহর প্রতি ১০০০ জনে দুইটিরও কম হিংসাত্মক অপরাধের রিপোর্ট করেছে, যা রাজ্যব্যাপী সহিংস অপরাধের হারের অর্ধেকেরও কম। ৮ মার্চ, ২০২২

যোগাযোগ 
মিশিগান এ বাস সার্ভিস অত্যন্ত ভালো।মিশিগানে বিভিন্ন বাস কোম্পানি এ সেবা দিয়ে থাকে।শহরের যে কোন প্রান্তে বাসের মাধ্যমে যাতায়ত করা যায়।এছাড়া রয়েছে ট্যাক্সি সার্ভিস। যে সব কোম্পানী ট্রান্সপোর্ট সুবিধা দিয়ে থাকে

  • MSU-CATA Transportation Center
  • CATA Transportation
  • Smart
  • Society Transportation

আরোও কিছুও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এখানে বিখ্যাত ইন্টার কান্ট্রি ট্রেন সার্ভিস বিদ্যমান।

বাংলাদেশী কমিউনিটি
বাংলাদেশী কমিউনিটি মূলত হ্যামট্রমিক ও ডেট্রয়েট, ওরিয়েন সিটিতে বসবাস করে। দোকানপাট,হোটেল,বাংলাবাজার এর মালিক ৮০ শতাংশই বাংলাদেশী।মুসলিম দের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।

করঃ
মিশিগানের ব্যক্তিগত আয় ৪.২৫% এর সমতল হার। এছাড়াও, ২২টি শহর আয়কর আরোপ করে; চারটি শহরে ব্যতীত বাসিন্দাদের জন্য ১% এবং অ-নিবাসীদের জন্য 0.৫% হার নির্ধারণ করা হয়েছে। মিশিগান রাজ্যের বিক্রয় ট্যাক্স ৬%, যদিও খাদ্য এবং ওষুধের মতো আইটেমগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় পর্যায়ে মূল্যায়ন করা হয়, কিন্তু প্রতিটি সম্পত্তির মালিকের স্থানীয় মূল্যায়ন বিধিবদ্ধ রাজ্য শিক্ষা করের জন্য ছয় শতাংশ (প্রতি $১০০০ সম্পত্তি মূল্যের $৬ এর হার) অবদান রাখে।

সম্পত্তি কর স্থানীয় বোর্ড অফ রিভিউয়ের কাছে আবেদনযোগ্য এবং রাষ্ট্রীয় আইন এবং স্থানীয় চার্টার দ্বারা নির্ধারিত মিলের হার অতিক্রম করতে স্থানীয় নির্বাচকমণ্ডলীর অনুমোদনের প্রয়োজন।

মিশিগান রাজ্যের সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য কতটা কর দিতে পারে তার সীমাবদ্ধতাও প্রদান করে। একটি ৬% কর ব্যবহার করা হয় রাজ্যের বাইরে ক্রয় করা পণ্যের উপর (যেগুলি রাজ্যে আনা হয় এবং ব্যবহার করা হয়), বিক্রয় করের সাথে সমতা। ব্যবহার কর মিশিগানের বাইরে থেকে ইন্টারনেট বিক্রয়/ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং বিক্রয় করের সমতুল্য।

চিকিৎসা
আমেরিকার অন্যান্য শহরের মতো মিশিগানেও চিকিৎসা ব্যায়বহুল।এখানে ঔষধ এর দাম একইরকম।হেল্থ ইনসুরেন্সের এর মাধ্যমে সুবিধা পাওয়া যায়।হাসাপাতাল ক্লিনিক এর সংখা অনেক।ঐ তুলনায় জনসংখ্যা কম।এজন্য কষ্ট করে অপেক্ষা করতে হয়না। ডাক্তার, নার্স,এবং অন্যান্য সহযোগীর সংখ্যা অনেক সুবিধা জনক। এখানে বিশ্বমানের কিছু হাসপাতাল রয়েছে যেমন

  • University of Michigan Health-Ann Arbor 1500 East Medical Center Drive Ann Arbor, MI 48109PHONE NUMBER(734) 936-4000 #1 মিশিগান ১৩#জাতীয়
  • Beaumont Hospital-Royal Oak 3601 West Thirteen Mile Road Royal Oak, MI 48073-6712PHONE NUMBER(248) 898-5000WEBSITE www.beaumont.org #2 মিশিগান #৮ জাতীয়
  • Ascension St. John Hospital 22101 Moross Road Detroit, MI 48236-2148 PHONE NUMBER1-313-626-6924 WEBSITEwww.ascension.org #১৭ মিশিগান
  • Henry Ford Medical Center – Hamtramck 9100 Brombach St, Hamtramck, MI 48212, United States #৯ মিশিগান

আমরা বলতে পারি নিউইয়র্কের পরে মিশিগানেই বাংলাদেশীদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক ।এখানে ২৫০০০ এর উপর বাঙালী পরিবার বসবাস করে।ডেট্রয়েট, হ্যামট্রমিক,ওরিয়েন এ মূলত বাংলাদেশীদের বসবাস।

এখানে বাসা ভাড়া,বাড়ীর মূল্যও অনেক কম।এখানে মসজদি রয়েছে পর্যাপ্ত। ৮০%শতাংশ বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এর মালিক বাংলাদেশীরা তাই একটি বৃহৎ বাংলাদেশী কমিউনিটি গড়ে উঠেছে।ব্যবসার জন্য এটি এখন খুবই সুবিধাজনক বাংলাদেশীদের জন্য।

নতুন বাংলাদেশী সিটি হিসাবে এ শহর গুলো শীঘ্রই জায়গা করে নিবে

About Author

Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0
    0
    Your Cart
    Your cart is emptyReturn to Shop